নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামের অপসারণ ও অবিলম্বে তাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নজরুল হুদা। আজ শুক্রবার (৯ মে) রাতে গণমাধ্যমে দেওয়া এক লিখিত বক্তব্যে তিনি এই দাবি জানান।
এতে বিএনপি নেতা নজরুল হুদা বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগের একজন দোসর। সম্প্রতি বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির ঘটনায় তৈরি করা কনটেন্ট ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডি থেকে শেয়ার করেছেন। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্বে থেকে তিনি এ ধরনের অপতৎপরতা চালাতে পারেন না।
এছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশনের অপসারিত মেয়র ও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের আইডি থেকে পোস্ট দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এ ধরনের আরো বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তাই আমরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামের অপসারণ ও অবিলম্বে তাকে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আমরা দেখছি উদ্বেগজনক চিত্র। সেখানে নানা অনিয়ম ও দুনীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ গুটিকয়েক শিক্ষক-কর্মকর্তা।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অঘোষিত পাঁচ সদস্যের একটি সিণ্ডিকেট রয়েছে। অবৈধ এ সিণ্ডিকেটের সদস্যরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, একজন বহিরাগত (চিফ ইনস্ট্রাক্টর দাবিদার) আতিকুর রহমান, অ্যাসেট প্রজেক্টের ব্লক বাটিক ও স্কিন প্রিণ্টিংয়ের গেস্ট ট্রেইনার মুন্নী আকতার, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামের স্ত্রী গেস্ট ট্রেইনার (গার্মেণ্ট) শায়লা শারমিন ও গার্মেণ্ট ট্রেডের ইনস্ট্রাক্টর শাহানাজ নাজনীন।
বিএনপি নেতা নজরুল হুদা বলেন, প্রতিষ্ঠানটির অবৈধ সিণ্ডিকেটের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি এ দেশের গণমানুষের দল। দেশের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। এই দলের বিরুদ্ধে কারো ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা বরদাশত করা হবে না।