চারঘাট প্রতিনিধি: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা সরকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অনিয়মের একের পর এক তথ্য প্রকাশ হতে চলেছে। কার্যালয়ের যোগসূত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা আর্ত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষক সমিতি। ততকালিন আ’লীগ স্থানীয় নেতাদের মদদে সরকারী বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা না না কৌশলে লোপাট করেছেন তিনি। পারিবারিক সূত্রে সচিবালয়ের কোন এক শক্তির বলে এই শিক্ষা অফিসার দাফটের সঙ্গে চাকুরী করে আসছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। ছায়া ক্ষমতার বলেই তার শক্তি ও বাহুবল।
চারঘাট উপজেলা সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির শিক্ষক নেতারা অভিযোগ তুলে বলেন, বর্তমান উপজেলা সরকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার গত ২৩ আগষ্ট ২২ তারিখ দায়িত্ব গ্রহন করেন। আ’লীগ সরকারের সময় থেকে তিনি বিভিন্ন কৌশলে অর্থ আর্ত্মসাত করে আসছেন। সরকারী বরাদ্দ (স্লিপের টাকা) থেকে তিনি লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট করেছেন। মূলত স্লিপের টাকা উপজেলা ৭৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাৎসরিক খরচের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে। যা দিয়ে বিদ্যালয়ের ছোট ছোট মেরামত, শিক্ষাার্থীদের জন্য খেলার সামগ্রীসহ বিনোদন সক্রান্ত বাবদ খরচ করা হয়। তবে এই অর্থ গুলো প্রত্যেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন তথ্য নিয়ে জান যায়, উপজেলার একাধিক সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মনগড়া উত্তর যেন শিক্ষা অফিসারের পক্ষ নিচ্ছে কখন ও বা বিপক্ষে। স্লিপের অর্থ গুলো শিক্ষা দপ্তর থেকেই কমতে শুরু করে। তারপর চলে যায় স্কুল কমিটি, তৃতীয় পর্যায়ে প্রধান শিক্ষকের প্রাপ্তি। নাম না প্রকাশের সর্তে অনেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ছাত্র সংখ্যার উপর ভিত্তি করে স্লিপের টাকা বিতরণ হয়। তবে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও বিদ্যালয় পাচ্ছে ২৫হাজার টাকা। এছাড়া যাদের বরাদ্দ ৭০ বা ৮০ হাজার তারা পাচ্ছেন ৩৫ হাজার টাক। অডিটে খরচ করতে হবে বলে শিক্ষা অফিসার টাকা নিয়েছে। কেউ বা বলেছেন টাকা চেয়েছিল তারা দেন নি। না না অজুহাত আর মিথ্যার মাধ্যমেও প্রকাশ পাচ্ছে অর্থ আর্ত্মসাতের অভিযোগ।
শিক্ষক সমিতির অর্ন্তভুক্তরাও বলেন, বাৎসরিক এই খরচ গুলো বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে গেলে শিক্ষা অফিসারকে উৎকোচ দিয়ে স্লিপের টাকা নিত হয়। তথ্যমতে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে ৫হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। গত ২বছর যাবত স্লিপের টাকা নিয়েছেন তিনি। যার প্রাথমিক খরসা করলে দেখা যায় লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট করেছেন শিক্ষা অফিসার। পরিশেষে কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এবিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, অর্থ লোপাটের বিষয়টা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বানেয়াট। শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যাক্তিগত ঈর্ষা থেকে তারা অভিযোগ আনছেন। এই উপজেলায় যোগদান করার পর ২বার স্লিপের টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন শ্রেনীবন্যিাসে উপজেলায় যে সকল বিদ্যালয়ে ২শত নিচে শিক্ষার্থী আছে তাদেরকে ৫০হাজার টাকা, ২শত থেকে ৩শত ছাত্র সংখ্যার জন্য ৭০হাজার টাকা এবং ৬শত বা তার বেশি শিক্ষার্থী থাকলে ৮০ হাজার টাকা বিদ্যালয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে কিছু দিনের মধ্যে তৃতীয় ধাপে স্লিপের টাকা বিতরণের জন্য প্রস্তুতী চলছে বলে জানান. স্লিপের টাকার বিষয়ে শিক্ষা অফিসার।