নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে পলাতক আসামিকে বালু মহাল ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ‘রাজশাহীর সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ৩৬ জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও অর্থ যোগানের ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি মোখলেসুর রহমান মুকুলকে গোদাগাড়ীর পাঁচটি মৌজায় (দক্ষিণ নির্মল চর, শেখেরপাড়া, এলাহীনগর, চরবার্নিশ ও পদ্মানদী) বালু ঘাট ইজারা দেওয়া হয়েছে।
তারা জানান, মুকুল দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে দরপত্র বাবদ অর্থ জমা দেন এবং স্বাক্ষর করেন। অথচ তার বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা রয়েছে এবং তিনি ৫ আগস্টের সহিংস ঘটনারও অন্যতম আসামি।
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “একজন পলাতক আসামি কীভাবে প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়ে কোটি টাকার ইজারায় অংশগ্রহণ করতে পারেন?” এ বিষয়ে আগেও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ ও আবেদন জানানো হয়েছিল। এমনকি মুকুলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার এজাহার, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক নথিপত্র সংযুক্ত করে তার ইজারা বাতিলের আবেদনও করা হয়েছিল।
তাদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসন বিষয়টি আমলে না নিয়ে উল্টো মুকুলকে ইজারা প্রদান করেছে। এতে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসন কি রাজনৈতিক দোসরদের পুনর্বাসনের মাধ্যম হয়ে উঠছে?
বক্তারা আরও দাবি করেন, মুকুলের বিরুদ্ধে ২-৩টি হত্যামামলা ছাড়াও হুন্ডি, স্বর্ণ চোরাচালান, মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তারা বলেন, “একজন অধিকারহীন, পলাতক ব্যক্তি কীভাবে ‘ছায়া অংশগ্রহণের’ মাধ্যমে টেন্ডারে অংশ নিতে পারেন?”
মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত মুকুলের ইজারা বাতিল করে নতুন করে দরপত্র আহ্বান এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আফিয়া আকতারকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাড়া দেননি, ফলে তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।