নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রেল কলোনি বস্তিতে দীর্ঘ এক যুগ ধরে মাদকের অবাধ ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, এ অবৈধ কর্মকাণ্ডের মূল হোতা কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী শ্যামলী ও তার মেয়ে খালেদা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বস্তিবাসীসহ এলাকার সচেতন যুব সমাজ সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রয়াত সাবেক কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টিটুর ভাতিজা ফায়সাল শেখের নেতৃত্বে একদল যুবক বস্তিতে গিয়ে মাদক ব্যবসা বন্ধের আহ্বান জানান এবং শ্যামলীকে এলাকা ছাড়ার জন্য শেষবারের মতো সতর্ক করেন। তবে অভিযুক্ত শ্যামলী পূর্ব সতর্কতায় সটকে পড়ে।
এ সময় ফায়সাল শেখ অভিযোগ করেন, শ্যামলীর শাশুড়ি যিনি রেলে চাকরি করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্যামলীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে মাদক ব্যবসাকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করছেন। তিনি বলেন, “আপনার সহায়তায় এ বস্তিতে মাদকের হাট গড়ে উঠেছে। এর ফলে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। আমরা বিষয়টি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “এই বস্তিতে অনেক নিরীহ মানুষ বসবাস করেন। তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এখানকার পরিবেশ রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। মাদক ব্যবসা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। প্রয়োজনে রেলওয়ের জিএম-এর সাথে কথা বলে বস্তি থেকে শ্যামলী ও তার সহযোগীদের উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এলাকার যুব সমাজের এ উদ্যোগকে অনেকেই ইতিবাচকভাবে দেখছেন। তারা মনে করছেন, প্রশাসন ও সচেতন জনগণের সমন্বিত পদক্ষেপে রেল কলোনি বস্তিকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব।