নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ-নূর-ই সাঈদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে নগর ভবনের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী মহানগরীর ছাত্র ও যুব সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে বক্তারা আবু সালেহ-নূর-ই সাঈদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ধরে অবিলম্বে তাকে সাত দিনের মধ্যে অপসারণের দাবি জানান।
কর্মসূচিতে রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য ও চন্দ্রিমা থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আরিফুজ্জামান সোহেল, রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন, ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন আনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শারাফাত হোসেন রাহাত, লতিফুল ইসলাম লিংকন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ জাকি এবং যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে মিনহাজুল ইসলাম মানিক, সমর হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, আ’লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং রাসিকের অপসারিত ও পলাতক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের আপন ফুপাতো ভাই হলেন নূর-ই-সাঈদ। তারা বলেন, লিটনের আত্নীয় হওয়ার সুবাদে নিয়ম বহির্ভূতভাবে তার ফুপাতো ভাই আবু সালেহ-নূর-ই সাঈদকে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেন। তারা দাবি করেন, নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে এবং আ’লীগ সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত তিনি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মানসিক নির্যাতন করেন এবং বিভিন্ন দলীয় মিছিল-সমাবেশে অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। আ’লীগ সরকারের পতনের পরেও তার ষড়যন্ত্র থেমে নেই।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে দায়িত্ব পালনের নামে তিনি উৎকোচ গ্রহণ করেছেন এবং চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনে সন্ত্রাসীদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
এদিকে রাসিকের প্রশাসকের কাছে দেওয়া এক অভিযোগে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সন্ত্রাসীদের সহায়তা ও অর্থ প্রদানের কারণে রাসিক কর্তৃপক্ষ তাকে শোকজড নোটিশ করেছিল। পরে অদৃশ্য কারণে বিষয়টি আর এগোয়নি।
মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে অপসারণের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে রাসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ-নূর-ই সাঈদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।