• রাজশাহী, বাংলাদেশ
  • ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধন এর জন্য আবেদনকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • news@sonybangla.news
  • ০১৭৭৫-৫৮৯৫৫৮

প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশ: বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪ ১১:৪২

প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে শিরোইল কলোনী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন প্রামানিক, এবং তৎকালনি সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিনসহ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট বৃহম্পতিবার রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৮ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের একান্ত সচিব আরাফাত আমান আজিজ ছাত্র ও এলাকাবাসীদের সাথে একটি সভা করেছেন।

উক্ত সভায়, শিরোইল কলোনী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন প্রামানিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে। ২০১৮ সালে স্কুলটির জন্য জমি অধিগ্রহন ও ক্ষতিপুরণ বাবদ ৭৫ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান দেয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।

এ অনুদানের টাকা থেকে একই বছর ১৮ এপ্রিল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সৈয়দ আখতারুল আলমের কাছ থেকে ২০ শতক জমি অধিগ্রহন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে যে জমি সভাপতির কাছ থেকে অধিগ্রহন দেখানো হয়েছে সে জমি আখতারুল আলমের ছিলনা বলে দাবি করেন অভিযোগকারীরা। তাহলে কী জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সভাপতিকে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ৪১ লাখ টাকা প্রদান করা হলো! এনিয়ে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্থানীদের মাঝে। মো. আখতারুল আলম শাহমখদুম থানা আ’লীগের সভাপতি এবং সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ঘনিষ্ট হওয়ার সুবাদে স্কুলটিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া নিয়োগের ক্ষেত্রেও করেছেন স্বজনপ্রীতি, অনিয়মের মাধ্যমে একই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে চাকরি দিয়েছেন কণ্যা ও জামাইকে। এছাড়া ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনের শ্যালক ও ম্যানেজিং কমিটির আরও এক সদস্য বিদ্যুৎসাহীর ছেলেকেও চাকরি দিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষাদান প্রকল্প দেখিয়ে ৩টি প্রজেক্টর ও প্রত্যেক শিক্ষক কে একটি করে মোট ৯টি ল্যাপটপ প্রদান করা হয়। এবং ১২টি সিসি ক্যামেরা ক্রয় বাবদ সর্বমোট ভাউচার করা হয় ৬,০৬৯০০ টাকা। ৪র্থ ও ৫ম তলা ভিত্তি প্রস্ত অনুষ্ঠানের ব্যায় দেখানো হয়েছে ৫১,৪১৯ টাকা। পহেলা বৈশাখ পালন, মাদক বিরোধী অনুষ্ঠান ও নিরাপদ সড়ক অনুষ্ঠানের নামে ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা। জমি রেজিস্ট্রি খরচ দেখানো হয়েছে ৯ লাখ টাকা।

সিটি কর্পোরেশনের প্রদানকৃত ৭৫ লাখ টাকার মধ্যে বিভিন্ন খাতে ব্যায় দেখানো হয়েছে ৫৭,৮৫,৮১৯ টাকা। অবশিষ্ট ১৭,১৫,৫১৮ টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা রয়েছে বলে ভুমি অধিগ্রহনকৃত প্রদত্ত টাকার খরচের হিসাব বিবরনী উল্লেখ করেছেন প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন প্রামানিক।

অন্যদিকে ৯টি ল্যাপটপ স্কুল চলাকালিন সময় ব্যবহারের কথা থাকলেও তা করেন না স্কুলটিতে কর্মরত শিক্ষকরা। ব্যক্তিগত কাজে এবং বেশিরভাগ সময় নিজ বাসায় রাখেন তারা বলেও অভিযোগ রয়েছে। এনিয়েও চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্কুলটিতে অধ্যানরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

এবাদেও স্কুলটির প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন প্রামানিক, ভূতপুর্ব সহকারী প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আখতারুল আলম ও সদস্য বিদ্যুৎসাহীর পরস্পর যোগসাজসে জমি অধিগ্রহন, নিয়োগ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেছেন এলাকাবাসী।
এছাড়াও আরও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে বলে এলাকাবাসীর দেওয়া অভিযোগে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে সরিয়ে দিয়েছে সরকার ।
এছাড়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী-লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আত্মগোপনে চলেযান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও শাহমখদুম থানা আ’মীলীগের সভাপতি আখতারুল আলম। এব্যাপারে তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন প্রামানিক বলেন, আখতারুল আলমের কাছে যে ২০ শতক জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে সেটি তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি এবং সমস্ত কাগজপত্র সঠিক বলেই তার কাছ থেকে ৪১ লাখ টাকায় কবলা দলিল মুলে ক্রয় করা হয়েছে। অথচ উক্ত মৌজার নির্ধারিত মুল্য ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা হলেও কম মুল্যে স্কুলকে প্রদান করেছেন অখতারুল আলম। এছাড়া এলাকাবাসী আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পুর্ণ মিথ্যা। যা কিছু হয়েছে সবি রেজুলেশনের মাধ্যমেই হয়েছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
এব্যাপারে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব আরাফাত আমান আজিজ বলেন, বর্তমানে গভনিং বডির সভাপতি বিভাগীয় কমিশনার স্যার, উনার আদেশক্রমে আমি সভা করার জন্য গিয়েছিলাম। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পট পরিবর্তন হয়েছে একারণে ছাত্র ও এলাকাবাসীর কথাও শুনেছি। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কোন অভিযোগ পায়নি। তবে এলাকাবাসী যারা অভিযোগ তুলেছিলেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে সেটি লিখতকারে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পরবর্তীতে এব্যাপারে একটি কমিটি করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: ইফতেখার আলম বিশাল

যোগাযোগ: শিরোইল গৌধুলী মার্কেট ঢাকা বাস টার্মিনাল বোয়ালিয়া রাজশাহী। ই-মেইল: smbishal18@gmail.com, মোবাইল:০১৭৭৫-৫৮৯৫৫৮