ইফতেখার আলম বিশালঃ রাজশাহীতে তরুণীর সঙ্গে এক ব্যক্তির কথোপকথন এবং অশ্লীল একটি ভিডিও চ্যাটিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বুধবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে প্রাথমিকভাবে ভিডিওটির অপর প্রান্তের তরুণীর নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বলা হচ্ছে, ভিডিওটি রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের। কারণ ভিডিওতে যে ব্যক্তিকে কথা বলতে দেখা গেছে তার সঙ্গে এমপি এনামুলের চেহারার মিল রয়েছে। কথোপকথন শুনে ও ভিডিও দেখে সেটা এমপি এনামুল বলেই ধারণা করছেন অনেকে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে রাজশাহীজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। যদিও এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক দাবি করেন, ভিডিওটি তার নয়।
ভিডিওতে ওই তরুণীর সঙ্গে এমপি এনামুলকে কথা বলতে দেখা গেছে। নিজের দামি গাড়ি, হাজার কোটি টাকা ঋণ, কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়েও তাকে কথা বলতে শোনা যায়।
তিনি বলেন, আমি যে টাকা লোন নিয়েছি তার দশগুণ টাকার তো গাড়িই আছে। সম্পত্তিও আছে কয়েক হাজার কোটি টাকার। আর আমার সম্পত্তি দিয়ে তোমাহের লাভ কী? আর ওই বেটি সইলের লাভ কী আর দেখার দরকার কী? আমি যে গাড়িতে চড়ি সেই গাড়ির দাম ৬ কোটি টাকা। এ রকম ৪টা গাড়ি আছে, ৪টা গাড়ি আছে ৬ কোটি টাকা দামের। আমার বউ যে গাড়িতে চড়ে সেটাও সাড়ে ৪-৫ কোটি টাকা দাম। আমার ছেলে চড়ে সেটাও অনেক দামি গাড়ি। আমার ঢাকায় একটা এবং রাজশাহীতে একটা গাড়ির সেটআপ আছে। আমার পাজেরো গাড়িই আছে সাতটা। তোমাকে কে বলেছে এ রকম ফালতু কথাবার্তা? শুনে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে। আমার হাজার কোটি টাকা লোন থাকলে তার সমস্যা কী? এসব কথার শেষ দিকে তিনি তরুণীর সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন।
৫ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে এমপি ওই তরুণীকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল কিছু কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। পাশাপাশি এমপির কথা মত তরুণী তার শরীরের আংশিক (পেট ও বুক) পোশাক তুলে দেখান। তবে ভিডিওর অপর প্রান্তে থাকা তরুণী ঠিক কী কথা বলছেন বা আদৌ কোনো কথা বলছেন কিনা তা সম্পষ্ট করে বোঝা বা শোনা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, ভিডিওটি এডিট করা। তাকে ফাঁসাতে একটি পক্ষের ষড়যন্ত্র এটি- বলেই মোবাইল সংযোগ কেটে দেন তিনি।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। আর এ ধরণের ভিডিও ভাইরালের বিষয়টি আমার জানা নেই।
এরআগে সম্প্রতি রাজশাহী মহানগর আ’লীগের এক শীর্ষ নেতার অশ্লীল ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে চরম তোপের মুখে পড়েন ওই নেতা। তার বহিষ্কারের দাবিতে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন এবং দলীয় সভানেত্রী বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন। এ নিয়ে মহানগর আ’লীগে বর্তমানে চরম অসন্তোষ জিইয়ে রয়েছে।
সনি বাংলা ডট কম/ ই আবি