অনলাইন ডেস্ক: কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিমসারে গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম তরকারি বাজার। মহাসড়কের ঠিক মাঝখানের সরকারি অধিগ্রহণ করা জমিতে অবৈধভাবে আড়ত ও দোকান গড়ে তুলেছেন দখলদাররা।
নিমসার বাজারটি মূলত মহাসড়কের দুই পাশ ঘিরে হলেও এবার দখলদাররা স্থাপনা গড়েছেন সড়কের দুই লেনের মাঝখানের অংশে। নিমসার স্কুলের সামনে থেকে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের আশপাশে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী দুই লেনের মাঝখানে গড়ে তোলা হয়েছে অর্ধশতাধিক আড়ত-দোকান ও খাবারের হোটেল।
বিভিন্ন ধরনের সবজি ও তরকারি বিক্রির পাশাপাশি এসব আড়ত ও দোকানে বিক্রি হচ্ছে ফল ও কাঁচামাল। এছাড়া পুরো বাজারে কয়েক শ’ অবৈধ স্থাপনা রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। নিমসার বাজারে মহাসড়কের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদে বেশকিছু দিন আগে একবার অভিযান চালানো হলেও দখলদাররা ফের সেসব স্থানে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। ফলে পুরো বাজারজুড়ে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা, বাড়ছে যানজট, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘিরে গড়ে ওঠা দেশের অন্যতম বৃহত্তম তরকারি বাজার কুমিল্লার নিমসারে মহাড়কের মাঝখানের সরকারি অধিগ্রহণ করা জমিতে অবৈধভাবে আড়ত ও দোকান গড়ে তুলেছে দখলদাররা। নিমসার বাজারটি মূলত মহাসড়কের দুই পাশ ঘিরে হলেও এবার দখলদাররা স্থাপনা গেড়েছে সড়কের দুই লেনের মাঝখানের অংশে।
নিমসার স্কুলের সামনে থেকে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের আশপাশে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী দুই লেনের মাঝখানে গড়ে তোলা হয়েছে অর্ধশতাধিক আড়ত-দোকান ও খাবারের হোটেল। বিভিন্ন ধরনের সবজি ও তরকারি বিক্রির পাশাপাশি এসব আড়ত ও দোকানে বিক্রি হচ্ছে ফল ও কাঁচামাল। এছাড়া পুরো বাজারে কয়েক শ’ অবৈধ স্থাপনা রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
নিমসার বাজারে মহাসড়কের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদে বেশকিছু দিন আগে একবার অভিযান চালানো হলেও দখলদাররা ফের সেসব স্থানে স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। ফলে পুরো বাজারজুড়ে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা, বাড়ছে যানজট, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অপরদিকে, ব্যস্ত মহাসড়কে সৃষ্ট হচ্ছে যানজট, ঘটছে দুর্ঘটনাও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আড়তগুলোতে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার শাক-সবজি ও তরকারি বিক্রি হয়। আড়তে যেসব শাক-সবজি বিক্রি হয় তার সিংহভাগই কুমিল্লার বাইরের জেলাগুলো থেকে আসে। কিছুসংখ্যক মালামাল আসে নিমসারের আশপাশের এলাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা থেকে। সেখান থেকে ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতারা পণ্য ক্রয় করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেন। তবে, বাজারের আড়তদারদের বেশির ভাগই কুমিল্লার স্থানীয়। বাজারটিতে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি রয়েছেন কিছু অবৈধ দখলদারও। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হলেও কিছুদিন পর ফের স্থাপনা গড়ে তোলা হয় সেখানে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নিমসার বাজারে অভিযান চালিয়ে কয়েক শ’ অবৈধ দোকান ও আড়ত উচ্ছেদ করা হয়। এরপর আর কোনো অভিযানের তথ্য পাওয়া যায়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে বাজারজুড়ে কয়েক শ’ অবৈধ দোকান ও আড়ত গড়ে তুলে সেখানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে মহাসড়কের দুই লেনের মাঝখানের সরকারি অধিগ্রহণ করা অংশে গড়ে তোলা দোকান-আড়তের দৃশ্যটি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র বলছে, বুড়িচং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, পরিহল পাড়া এলাকার রুহুল আমিনসহ ২০/২৫ জনের একটি প্রভাবশালী চক্র এসব স্থাপনা গড়ে ভাড়া দিচ্ছেন।
সেখানে আড়ত ও দোকান নিয়ে বসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দখলদাররা এসব দোকান বিভিন্ন রেটে ভাড়া দেন। ভাড়াটিয়াদের ভাষ্য, ‘আমরা তাদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছি। বৈধ নাকি অবৈধ তা বলতে পারব না।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হালিমা খাতুন জানান, নিমসার বাজারের কিছু অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে আমাদের বলা হয়েছে। সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি শিগগিরই সেখানে অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবেন।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, মহাসড়কের নিমসার বাজার ও আশপাশের অংশে যেসব অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। অতিদ্রুত অভিযান চালিয়ে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা হবে।
সনি বাংলা ডট কম/ইআবি