নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী মহানগরীতে আদালতে নির্দেশ উপেক্ষা করে শত বছর বয়সী
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এক বৃদ্ধের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে আ’লীগ নেতা খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে।
খলিলুর রহমান নগরীর ৩০নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী বৃদ্ধের মেয়ে মোসাঃ ওয়াহিদা বেগম বাদী হয়ে গত (২৪ জানুয়ারী) মতিহার থানায় ওই নেতার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী মোসাঃ ওয়াহিদা বেগম জানায়, আমার পিতা মোঃ মজিবর রহমান, প্রায় ১০০ বছর বয়স তার। বর্তমানে তার দু’টি চোখ অন্ধ। কোমর ভাঙ্গা এবং বার্ধক্যজনিত কারনে হাটা চলাফেরা করতে পারেন না।
রাজশাহী মহানগরীর মেহেরচন্ডি মৌজায় আমার পিতার নিজ নামীয় জমি রয়েছে। যাহার খতিয়ান আর এস: ৭২৯, হেল্ডিং নং-৭৫৪, থানা বোয়ালিয়া, দাগ নং-৪৩১৭, সম্পত্তির পরিমান-০.০৬ একর। এই জমিটি গায়ের জোরে আ’লীগ নেতা খলিলুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।
জমি রক্ষায় রাজশাহী কোর্টে একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নং-২২৮/১৭। ওই মামলায় গত (২৪ জানুয়ারী ২০২৩) বিবাদীর আদালতে স্বাক্ষীর তারিখ ধার্য ছিলো। কিন্তু বিবাদী আদালতে না গিয়ে ওই দিনই সকাল ১০টায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোর পূর্বক স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করেন।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগী মোসাঃ ওয়াহিদা বেগম বাদী হয়ে মতিহার থানায় ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে মতিহার থানার এসআই গোলাম মোস্তফা ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু পুলিশ চলে আসার পরেই তিনি আবারও নির্মান কাজ করেন।
এই জমি দখলকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগীদের হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছেন আ’লীগ নেতা খলিলুর।
এ নিয়ে বারং বার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও থানা পুলিশের দারস্থ হচ্ছেন বৃদ্ধের মেয়ে ওয়াহিদা বেগম।
সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাচ্ছেন, নগর পিতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সহ আরএমপি পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তা ব্যক্তিদের নিকট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা জানান, খলিলুর রহমান একজন ভয়ংকর প্রকৃতির মানুষ। তার বিরুদ্ধে মুখ খুলবে এমন কেউ এই এলাকায় নেই। দখলের লক্ষ্যে তিনি যে জমিতে স্থাপনা নির্মান করছেন সেই জমিটি শতভাগ তার না বলেও জানান স্থানীয়রা।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে, রাসিক ৩০ নং ওয়ার্ড আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান জানান, ২৪ জানুয়ারী আদালতের তারিখ আমার মনে ছিলো না। তবে আদালত কর্তৃক আগামী ৩ মার্চ তারিখ দিয়েছে। সেই তারিখে আমি আদালতে উপস্থিত হবো।
জমির মালিক আপনি না তারপরও অন্ধ বৃদ্ধের জমি দখল করছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমি যে স্থানটিতে কাজ করছি সেই জমিটি সরকারী বলে দবি করেন তিনি।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিহার থানার এসআই মোঃ গোলাম মোস্তফা জানান, ভুক্তভোগীর দেওয়া অভিযোগ পেয়ে ওসি স্যারের নির্দেশে সরেজমিনে যাই। নেতা খলিলুর রহমান সেখানে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করেই নির্মান কাজ করছিলেন। যাহা আইন বহিভূত। তাছাড়া তিনি যে জমিটি নিজের বলে দাবি করে নির্মান কাজ করছেন তার কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও জানান ওই এসআই।
সনি বাংলা ডট কম/ই আবি