নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী নগরীতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী রেজওয়ান আনসারির ছেলেকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্ষণ মামলায় আটক দেখিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে একটি কুচক্রি মহলের বিরুদ্ধে ।
অথচ তার ছেলের নামে কোনো প্রকার মামলা এমনকি আটকেরও খবর পাওয়া যায়নি অনুসন্ধানে। এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালচনার ঝড় উঠেছে অত্র ওয়ার্ডে। রেজওয়ান আনসারির ছেলের নাম ইমন (২০), বর্তমানে ঢাকার উত্তর বাড্ডায় বসবাস তার। সামসাং মোবাইল কম্পানীতে টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।
ইমনের পিতা রেজওয়ন অনসারি রেলওয়ের একজন ঠিকাদার, সে ১৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি, এছাড়া্ আগামী রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বচনে ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। ইতি মধ্যে এলাকাবাসির ব্যাপক সাড়াও পেয়েছেন এমনটা খোজ নিয়ে জানা গেছে। এদিকে তার জনপ্রিয়তা নস্ট করতেই তার এবং তার পরিবারকে নিয়ে মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছে কিছু কূচক্রি মহল। এর আগে একেরপর এক হামলা মামলারও শিকার হয়েছেন রেজওয়ান আনসারি।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ অক্টোবর Md sumon sumon নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ১৯ নং ওয়াড, শিরোইল কলোনির রেজওয়ান আনসারির ছেলে কমলাপুর রেলস্টেশনে একটা মেয়েকে ধর্ষণ করে ধরা পড়েছে। সাদা হাফহাতা সাট গায়ে ধর্ষক রেজওয়ান আনসারির ছেলে। এমন তথ্য দিয়ে যমুনা টেলিভিশন একটি প্রতিবেদনের ২২ সেকেন্ডর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়।
তবে ভিডিওতে যে ছেলেকে ধর্ষক ইমন বলা হচ্ছে সেটি আসলে রেজওয়ান আনসারির ছেলেনা। এদিকে ছেলে ইমনের এ ধরনের মিথ্যাচারের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসির মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।
এ ব্যাপারে ইমনের পিতা রেজওয়ান আনসারি বলেন, গত ৮ অক্টোবর ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়। সেই মামলায় ৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করে রেলওয়ে থানা পুলিশ (জিআরপি)।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-নোয়াখালি জেলা বেগমগজ্ঞ থানার সুমন (২১), চাঁদপুর জেলার কাচুঁয়া থানার মোঃ নাইম (২৫), নরসিংদী জেলা বেলাবো থানার মোঃ নাজমুল হাসান (২৬), সিলেট জেলা লক্ষীপুর জেলা কমলপুর থানর আনোয়ার হোসেন (২০) ও সিলেট জেলা ওসমানীনগর থানার রোমান কালু (২২)। তাদের আটকের খবর যমুনা টেলিভিশনে সমপ্রচার করা হয়।
রেজওয়ান আনসারি বলেন, আটক ৫ যুবকের মধ্যে একজনকে আমার ছেলে পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে মিথ্যাচা করা হচ্ছে যা সত্যনা।
এঘটনায় আমি ও আমার পরিবার ব্যাপক মানষিক দুশ্চিন্তায় রয়েছি। এছাড়া আমার ছেলে ইমনের কেরিয়ার এবং তার ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। এঘটনায় বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে বিজ্ঞ আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান রেজওয়ান আনসারি।
সনি বাংলা ডট কম/ইআবি
