ইরানের রাষ্ট্রীয় একটি টেলিভিশন সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে সম্প্রচার চলাকালে ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান নিউজ নেটওয়ার্কে (ইরিন) ওই হামলা চালানো হয়। কিছুক্ষণের জন্য চ্যানেলটির নিয়ন্ত্রণ নেয় হ্যাকাররা। ওই সময়ের মধ্যে হ্যাকাররা টিভির পর্দায় সরকারবিরোধী কিছু ছবি ও বার্তা প্রকাশ করে। তাসনিম নিউজের বরাত দিয়ে সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, রাত ৯টার দিকে ইরিন টিভিতে সংবাদ বুলেটিন সম্প্রচারের সময় চ্যানেলটি কিছুক্ষণের জন্য ইসলামি বিপ্লববিরোধী দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়। এ ঘটনার (হ্যাকিং) একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, টিভিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এক জনসভায় ভাষণের দৃশ্য সম্প্রচার করা হচ্ছে।
এরমধ্যে হঠাৎই সম্প্রচার বাধাগ্রস্ত হয়ে অন্য একটি ভিডিও চালু হয়। তাতে মোটা ভ্রু ও চাপ দাঁড়িওয়ালা একটি মুখোশের ছবি ভেসে ওঠে। এরপরপরই সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির একটি ছবি ভেসে ওঠে। তাতে দেখা যায়, খামেনির গায়ে আগুন জ্বলছে। হ্যাকাররা এটাকে ‘আদালত আলি’ বা ‘আলির বিচার’ বলে উল্লেখ করেছে।
এরপর আরও একটি ছবি ভেসে ওঠে যাতে দেখা যায়, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মাথা নিশানা করা হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি পুলিশি হেফাজতে নিহত তরুণী মাহসা আমিনি ও তার মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করার সময় নিহত আরও তিন নারীর ছবিও দেখা যায়। একটি ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘আমাদের সঙ্গে যুক্ত হোন ও জেগে উঠুন’। আরেকটিতে লেখা হয়, ‘আপনাদের থাবায় আমাদের মতো তরুণদের রক্ত ঝরছে। ’
ইরানে পুলিশের হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রায় এক মাস ধরে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজার হাজার নারী। এ বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।