ময়মনসিংহ বিভাগের প্রায় অর্ধশত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সংকট। নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতায় শিক্ষক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে চলা শিক্ষক সংকট স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় ফেলেছে।
শেরপুরের নকলা উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী মাত্র ৯ জন। এদের মধ্যে ৬ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করেন ৩ শিক্ষক। তবে কাগজে-কলমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ জন।
এমন বাস্তবতা জেলা ও বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও। শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা ও সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় এমন সমস্যা বলে মনে করেন শিক্ষকরা।
তারা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি সমস্যা না থাকত, তবে এত এত কিন্ডারগার্টেন গড়ে উঠত না। এ ছাড়াও শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে চলছে জটিলতা।
আগামী দু-মাসের মধ্যে শিক্ষক সংকট অনেকটাই কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শেরপুরে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুর আলম মৃধা।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকের পদগুলো পূরণ হয়ে গেলে পাঠদানের অবস্থাটা ভালো হবে। হোম ভিজিট বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়াও উঠান বৈঠক হচ্ছে। অভিভাবকদেরও কল করছি, তাদের বোঝাচ্ছি। সবকিছু মিলিয়ে উপস্থিতি এখন বাড়ছে। তাই সংকট শিগগিরই কেটে যাবে বলে আশা করছি।’
শেরপুরের মতো ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলায়ও রয়েছে শিক্ষক সংকট। ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পড়ে আছে সহকারী ও প্রধান শিক্ষকের পদ।