• রাজশাহী, বাংলাদেশ
  • ১০ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধন এর জন্য আবেদনকৃত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • news@sonybangla.news
  • ০১৭৭৫-৫৮৯৫৫৮

নগরীতে ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়ে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এলেন পুলিশ সদস্য!, গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৩ ৬:০৭

নগরীতে ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়ে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এলেন পুলিশ সদস্য!, গ্রেপ্তার ৪

ইফতেখার আলম বিশাল: রাজশাহী নগরীতে ছিনতাইকারীদের খপ্পরে পড়েছিলেন এক পুলিশ সদস্য। এরপর চরম খেসারত দিতে হয়েছে তাকে। ফিল্মি কায়দায় চালানো হয় তার উপর নির্যাতন। এটিএম কার্ডের পিন নম্বর দেয়ার পরও ওই পুলিশ সদস্যর জ্ঞান ফিরাতে দেয়া হয় সিগারেটের ছ্যাকা! এবাদেও সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়ার পর উলটো চোর বলে ওই পুলিশ সদস্যকে তুলে দেয়া হয় জনগণের হাতে।

বিষয়টি জানার পর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে আরএমপি জুড়ে। লড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। অবশেষে রবিবার গভির রাতে অভিযান চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৪ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে মতিহার থানা চৌকশ টিম।

গ্রেফতারকৃতরা হলো: মোঃ পলাশ কবির (২৫), সে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন হড়গ্রাম বাজার এলাকার মৃত সুরে জামালের ছেলে, মোঃ সাগর ইসলাম অরফে ইমন (২৯), মতিহার থানাধীন সোরাফানের মোড় আমবাগান এলাকার মোঃ সামাদ মন্ডলের ছেলে, মোঃ রকি (৩৫), বোয়ালিয়া থানাধীন  শিরোইল কলোনী দোসর মন্ডলের মোড় এলাকার মোঃ আব্দুর রহমানের ছেলে ও একই থানার মৃত ইসলাম শেখের ছেলে মাঃ সোহেল (৪০)।

ঘটনাটি বৃহস্পতিবার হলেও গতকাল সোমবার রাতে উঠে আসে থানার মাধম্যে। মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, পুলিশ সদস্য জয়ন্তু কুমার (২৯৬০) দাঙ্গা দমন বিভাগ , পুলিশ লাইন আরএমপি কর্মরত।
তিনি গত বৃহস্পতিবার (৬এপ্রিল) নগরীর রাজপাড়া থানাধীন রেঞ্জ ডিআইডি অফিসের সামনে থেকে বাজারে আসার জন্য একটি অটোতে ওঠেন।

ওই সময় মুখে মাস্ক পরিহিত দুইজন যুবক অটোতে ছিলো। ৩/৪ মিনিটের মধ্যে মাস্ক পরিহিত দুইজন যুবকের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যের মুখে রুমাল ধরলে তিনি তাৎক্ষনিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

এদিন ইফতারের আগে জ্ঞান ফিরে দেখেন তিনি একটি বাসার মেঝেতে পড়ে আছেন। পাশে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তাকে বলে যা আছে বের করে দে। ভয়ে তিনি তার কাছের নগদ ৩৫০০/-টাকা দেন। তবে ১৫ হাজার টাকা মূল্যের ২টি রূপার আংটি ও ১টি স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এ সময় ছিনতাইকারীরা তাকে মারধর করে এবং আরও টাকা দাবি করে। ওই সময় পুলিশ সদস্যদের কাছে রক্ষিত ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম কার্ড কেড়ে নেয় এবং পিন নম্বর চায়।

নম্বর না দেওয়ায় তাকে ব্যাপক মারধর করে। নিরুপায় হয়ে তিনি তার কার্ডের পিন নম্বর বলে দেন। পিন নম্বর পেয়ে উদয়, পলাশ ও রকি মিলে মতিহার থানাধীন তালাইমারী ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে ঢুকে কার্ড থেকে ৮ হাজার টাকা উত্তোলন করে। অতিরিক্ত মারধরের কারণে পুলিশ সদস্য জয়ন্তু কুমার পূণরায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাকে জ্ঞান ফেরানোর জন্য ছিনতাইকারীরা সিগারেটের আগুন দিয়ে হাতে ও পায়ে ছ্যাক দিয়ে ছ্যাকা দেয়।

এদিন সন্ধ্যার পর ছিনতাইকারীরা নিজেদের বাঁচানোর জন্য ওই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে মতিহার থানাধীন রেডিও (বেতার) সেন্টারের মাঠে বাগানে ভেতর নিয়ে ফেলে রাখে। এক সময় জ্ঞান ফিরলে তিনি উঠে দাড়ালে তাকে পলাশ, উদয়  পাওয়ার হাউজ পাড়া এলাকার কুখ্যাত চোর ও ছিনতাইকারী জাহেদালির ছেলে রুমেল তাকে মারধর করতে থাকে।

ওই সময় আশে পাশে বসতির বসবাসরত ও মোটরশ্রমিকের কাজে জড়িত লোকজন এগিয়ে আসলে অটোচোর বলে চিৎকার করে অপহরণকারী ও ছিনতাইকারীরা। এ সময় জনতা পুলিশকে খবর দেওয়ার জন্য ৯৯৯-এ ফোন দিলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।

বিষয়টি লোকমুকে শুনে মতিহার থানা পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে। এ ব্যপারে ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ওসি আরও বলেন, আসামীরা সংঘবদ্ধ চোর ও ভয়ংকর ছিনতাইকারী চক্র। পুরো রাজশাহীজুড়ে তাদের নেটওয়ার্ক রয়েছে। এদের গডফাদার পাওয়ার হাউজপাড়ার জাহেদালির ছেলে রুমেল।

তারা সকলেই মাদক সেবন করে। মাদক সেবনের টাকার জন্য অপহরণ, চুরি,  ছিনতাই এমন কোন অপকর্ম নেই যা তারা করে না। পলাতক ও প্রধান আসামী রুমেলকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সনি বাংলা ডট কম/ইআবি

সর্বশেষ সংবাদ

 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



প্রকাশক ও সম্পাদক: মো: ইফতেখার আলম বিশাল

যোগাযোগ: শিরোইল গৌধুলী মার্কেট ঢাকা বাস টার্মিনাল বোয়ালিয়া রাজশাহী। ই-মেইল: smbishal18@gmail.com, মোবাইল:০১৭৭৫-৫৮৯৫৫৮