নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নাটোর সদরের পূর্ব হাগুরিয়া গ্রাম থেকে ১১৩ বোতল ফেন্সিডিল ও ২১ কেজি গাঁজাসহ তিন জন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের-৫ (র্যাব) এর একটি আভিযানিক দল।
শনিবার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-৫। এসময় তাদের কাছে ২১ কেজি গাঁজা, ১১৩ বোতল ফেন্সিডিল, ২টি প্রাইভেট কার, ৫টি মোবাইল, ৯টি সিমকার্ড ও ২ সেট গাড়ীর কাগজ জব্দ করা হয়।
গ্রেফতার আসামীরা হলেন- পাবনার ঈশ্বরদীর মূলাডলি থানার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মো. শাহিন হোসেন সবুজ (২৭), পাবনার ঈশ্বরদীর ঢাখীপাড়া এলাকার হারুন উদ্দিনের ছেলে মো. আসাদুল ইসলাম (২৫) ও নাটোর বড়াইগ্রাম থানার রাজাপুর এলাকার মো. ইদ্রিসের ছেলে মো. হৃদয় মোল্লা (২৫)।
রোববার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-৫ এর মিডিয়া সেল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫ এর রাজশাহীর সিপিএসসি মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল জানতে পারে যে, কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী দুটি প্রাইভেট কারে মাদকদ্রব্য বহন করে বগুড়া থেকে রাজশাহীর দিকে আসছে। বিষয়টি জানামাত্রই র্যাবের গোয়েন্দা দল নাটোর সদরের পূর্ব হাগুরিয়া গ্রামের মেসার্স এফএনএ ফিলিং স্টেশনে ব্রীজের উপর চেকপোষ্ট পরিচালনা করে।
ওই চেকপোষ্ট চলাকালীন শনিবার দিবাগত রাত পৌঁনে দুই টার দিকে বগুড়া থেকে রাজশাহীর দিকে দুটি সাদা রংয়ের প্রাইভেট কার চেকপোষ্টের সামনে আসলে সিগন্যাল দিয়ে গতিরোধ করা হয়। কার দুটি ঘটনাস্থলে থামানো হলে চার জন ব্যক্তি কারের দরজা খুলে পালানোর চেষ্টাকালে তিনজন ব্যাক্তিকে ঘটনাস্থলেই আটক করা গেলেও একজন ব্যক্তি সুকৌশলে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতার আসামীরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, বর্নিত প্রাইভেট কারটির মধ্যে লুকায়িত অবস্থায় পিছনের ব্যাকডালা বক্স এর ভিতরে গাঁজা ও ফেন্সিডিল আছে। তারা পরস্পর যোগসাজসে অবৈধ মাদকদ্রব্য কুমিল্লা থেকে সংগ্রহ করে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে আসছিলেন। তারা আরও জানায়, ইতিপূর্বে বেশ কয়েক দফায় এভাবে প্রাইভেট কারের ভেতরে লুকিয়ে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে আসছিলেন তারা বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব-৫ এর ডাটা সেল জানায়, আসামীদের বিরুদ্ধে নাটোর জেলার সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সনি বাংলা ডট কম/ ইআবি