রাজধানীর রামপুরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় চিকিৎসক শাকির বিন ওয়ালীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শাকির নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শাকিরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পরিদর্শক এস.এম. মিজানুর রহমান।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) চারদিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তখন মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পুনরায় তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ফের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রামপুরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে শাকির ও তার সহযোগী আবরারুল হক ভিলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর আদালত শাকির ও আবরারুল হক ভিলার চারদিনের রিমান্ড বাতিল করেন। এ মামলায় গত সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আবরারুল হক ভিলা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মামুনুর রহমান ছিদ্দিকীর আদালত ভিলার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা যায়, কথিত হিজরতের নামে ঘর ছেড়ে যাওয়া কুমিল্লার সাত তরুণের সহযোগী শাকির। তিনি নানাভাবে তরুণ-যুবকদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করে আসছিলেন।
শাকির দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের জন্য সদস্য সংগ্রহ, সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও কথিত হিজরতে সহায়তা করতেন।