অনলাইন ডেস্ক: জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে পরবর্তী ম্যাচে নামছে ভারত। এটাই সুপার ১২-এ ভারত ও জিম্বাবোয়ের শেষ ম্যাচ। ম্যাচটার গুরুত্ব ভারত ও জিম্বাবোয়ের কাছে বেশি নয়। কারণ ইতিমধ্যেই তিনটে ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট পেয়ে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। অন্যদিকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে জিম্বাবোয়ে। ফলে দুজনের কাছে ম্যাচের গুরুত্ব কিছুটা হলেও কম। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ জিম্বাবোয়ে ও ভারতের ম্যাচ। কারণ সুপার ১২-এ পরপর দুটো ম্য়াচ হেরে পাকিস্তান দল এখনও বাকিদের দিকে তাকিয়ে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা পয়েন্ট নষ্ট করলেই পাকিস্তানের সুবিধা হবে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সমর্থক থেকে শুরু করে প্লেয়াররা সকলেই ভারতের পরাজয় চাইছেন।
ভারতের বাকি আর একটা ম্যাচ। তারপর সেমিফাইনাল। সেই ম্যাচে জিম্বাবোয়ে যদি ভারতকে পরাস্ত করতে পারে তাহলে জিম্বাবোয়ের তরুণকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দিলেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী শেহার শিনওয়ারি। তিনি টুইট করে এই কথা ঘোষণা করে দেন।
গত সপ্তাহে জিম্বাবোয়ে পাকিস্তানকে ১ রানে পরাস্ত করে। ভারতের কাছে হারের পর জিম্বাবোয়ের কাছে হার পাকিস্তানের কফিনে পেকের পুঁতেছিল। তারপরেই সেমিফাইনালের লড়াই কঠিন হয়ে যায় পাকিস্তানে কাছে। ফলে ভারত ও জিম্বাবোয়ে দুজনের কাছেই হারল পাকিস্তান। ‘শত্রুর শত্রু আমার মিত্র’ এই কথাকে সঙ্গী করেই এবার এগোতে চাইছে পাকিস্তান। সেটাই দেখা গেল পাক অভিনেত্রীর টুইটে।
তিনি টুইটে লেখেন, ‘আমি এক জিম্বাবোয়ের ছেলেকে বিয়ে করব, যদি ওরা পরের ম্যাচে ভারতকে হারাতে পারে।’ এই টুইটটি করার পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। অনেক পাকিস্তানি সমর্থক নিজেকে জিম্বাবোয়ে বলে দাবি করতে থাকেন। ভারতীয় সমর্থকরা লেখেন, ‘আশ্বাস দিয়েছ তো ঠিক আছে কিন্তু সেটা হবে না।’
এই প্রথম নয়, এরআগেও তিনি ভারতের হার চেয়ে একাধিক টুইট করেছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচে আগে তিনি টুইটে লিখেছিলেন, ‘হে উপরওয়ালা, আজ এত বৃষ্টি দাও যাতে ভারতের সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা ভেসে যায়।’ তারও আগে একটি পোস্ট করেন তিনি। যাতে লেখেন, ‘যদি ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জেতে, তাহলে আমি আমার নাম বদলে নরেন্দ্র মোদী রাখব।’ যদিও এখনও পর্যন্ত তিনি তাঁর নাম পরিবর্তন করেননি।
সেইরকমই একজন জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার রাখেল স্টুহলমান। ২৬ বছর বয়সি এই টেনিস ইনফ্লুয়েন্সার ইন্সটাগ্রামে অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর তিনি বর্তমানে ইন্সটাগ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁর বেশিরভাগ কনটেন্ট টেনিস সংক্রান্ত। ফলে তাঁকে দেখে অনেকে টেনিস অনুসরণ করেন বা টেনিসকে জনপ্রিয় করতে তাঁর উপর ভরসা করেন অনেকে। তাঁর যেকোনও পোস্টই দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। তাঁর লক্ষ্য হল টেনিসকে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া, ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে তিনি সেই কাজই করতে চান বলে জানিয়েছেন। তবে টেনিস ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নিজের কাজ শুরু করার আগে তিনি পেশাদার টেনিস খেলেছেন। কলেজ স্তরে তিনি টেনিস খেলেছিলেন। এছাড়া তিনি মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সিঙ্গল ও ডাবলস ইভেন্টে ব়্যাঙ্কিং অর্জন করেন। তাঁর কাছে মডেলিং ও সাংবাদিকতার ডিগ্রিও রয়েছে।
প্রথম জীবনে তিনি সাংবাদিক ছিলেন। অর্থাৎ পেশাদার কেরিয়ার শুরু হয় সাংবাদিক হিসেবে। ব্লগ লিখতেন তিনি একাধিক সংস্থার হয়ে। পরে তিনি টেনিসকে ভালোবেসে ফেলেন।
তাঁর টেনিস দুনিয়ায় আসার গল্পটাও তিনি জানিয়েছেন। কলেজে টেনিস খেললেও তিনি কখনও টেনিসকে পেশা হিসেবে দেখেননি বা এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবেননি।
তাঁর পেশা পরিবর্তনের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমি ফটোশুট করতে চাইছিলাম টেনিসকে নিয়ে। আমি চেয়েছিলেন এই খেলাটাকে সবজায়গায় ছড়াতে। ভালো লাগে যখন আমার মত অনেক মেয়ে টেনিস, গলফে আসতে দেখি।
পয়েন্ট টেবিল দেখে এখন বাকি দলগুলোর দিকে তাকানো ছাড়া যে পাকিস্তানের কাছে কোনও রাস্তা খোলা নেই তা বোঝাই যাচ্ছে।
সনি বাংলা ডট কম/ইআবি