নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী পবার হরিপুর ইউনিয়নের নবগঙ্গা এলাকায় একটি পুকুর ভরাট না করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
পুকুরের একাংশের মালিক নবগঙ্গা গ্রামের আব্দুল হালিম বাদি হয়ে পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কাশিয়াডাঙ্গা থানা, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বরাবর অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পবার হরিপুর ইউনিয়নের মৌজা নবগঙ্গা, জেএল নং-৪৬, দাগ নং- ১২৩ ও ১২৪ এর আওতায় প্রায় ৩০ শতক পুকুর রয়েছে।
এই পুকুরের মালিক নবগঙ্গা গ্রামের আব্দুল হালিম ও তার বোনরা। এই পুকুরের কিছু অংশ আব্দুল হালিমের বোনেরা ওই এলাকার মহির উদ্দিনের ছেলে জিয়ারুলের কাছে বিক্রি করেছেন। পুকুরটির কিছু অংশ কেনার পর থেকে জিয়ারুল ও তার সহযোগিরা সেটি ভরাটের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুকুরটির বেশিরভাগ জায়গা আব্দুল হালিমদের। কিন্তু সামান্য কিছু অংশ কিনেই জিয়ারুলসহ তার সহযোগিরা ভরাট করার চেষ্টা করছেন। পুকুরটির চারপাশে প্রায় শতাধিক বসতবাড়ি রয়েছে। এছাড়াও পুকুরের পশ্চিম পাশে সরকারীভাবে প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয়ে প্রটেকশন ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। বর্ষা মওসুমে পুরো গ্রামের বৃষ্টির পানি ওই পুকুরে গিয়ে জমা হয়। পানি নিষ্কাশনের বিকল্প কোনো জায়গা না থাকায় এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। পানি বন্দি হয়ে পড়বে শতশত পরিবার। তবে স্থানীয়রা বলছেন, পুকুরটি ভরাট করা হলে বাড়িতে উঠে যাবে পানি। এতে চরম বিপাকে পড়বে ওই গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। এমনকি বাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারবে না।
অভিযোগকারী আব্দুল হালিম বলেন, অভিযোগ দেয়ার পর থেকে জিয়ারুল ও তার সহযোগিরা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এতে আমার নিরাপত্তা নিয়ে চরম ঝুঁকির মধ্যে আছি। তিনি বলেন, তারা ওই পুকুরটির কিছু অংশ বোনদের কাছ থেকে কিনেছেন। কেনার পর থেকেই তারা ভরাটের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে আমি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি। এখন তারা অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তারা এলাকার ভুমিদস্যু হিসাবে চিহ্নিত। রাস্তাঘাটে পেলে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়েছে। তবে নবগঙ্গা ওয়ার্ড আওয়ামী লীর সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলি, স্থানীয় বাসিন্দা এখতার হোসেন, নজরুল জানান, পুকুরটি ভরাট করা হলে আমাদের এই এলাকা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। পুকুরটি যেনো ভরাট করা না হয় সে জন্য প্রসাশনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
হরিপুর ইউনিয়নের ৩নং নবগঙ্গা ওয়ার্ডের সদস্য বাবর আলী জানান, আমি পুকুর ভরাটের ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ইউনিয়ন পরিষদেও অভিযোগের কপি দেয়া হয়েছে। তারা জোর করে পুকুরটি ভরাট করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারণ পুকুরটি ভরাট করা হলে আশপাশের বাড়িগুলোতে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। আমি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি। এব্যাপারে জিয়ারুলের সাথে কথা বলতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লসমী চাকমা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুকুর ভরাট করার কোনো আইন নাই। পুকুরটি যেনো ভরাট না হয়, সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সনি বাংলা ডট কম/ইআবি