নিজেদের শেষ সংস্করণে ইএ প্রথমবারের মতো নারীদের ক্লাবকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। যদিও সেগুলো কেবল ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের। কয়েক বছর আগে তারা নারী খেলোয়াড়দের নিজেদের গেমে অন্তর্ভুক্ত করেছিল।
এবারের গেমের কাভারে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে রাখা হয়েছে ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে খেলা অস্ট্রেলিয়ান তারকা স্যাম কারকে। এদিকে ইএ ও ফিফার বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই আলাদাভাবে দুই পক্ষের সফল হওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল অনেকেই।
যদিও বিশ্লেষকেরা বলছেন, আলাদা হওয়ার পর ইএর সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ৩০ বছর ধরে গেমের বিকাশ ও বিপণনের কাজ করে আসছে তারা, যা তাদের শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছে।
গত বছর জানা গিয়েছিল, ৩০ বছরে ফিফা গেমটি ৩২ কোটি ৫০ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে আয় হয়েছে ২ হাজার কোটি ডলারের বেশি। যদিও কালকের পর থেকে এসব হিসাব–নিকাশ শুধুই অতীত।
গেমাররা অবশ্য প্রাতিষ্ঠানিক এই ঝামেলা নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন না। বরং নতুন সংস্করণ নিয়েই তাঁদের বেশি আগ্রহ। যেসব গেমার আগেই অর্ডার করেছিলেন, তাঁরা ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে খেলার অনুমতি পেয়েছেন।
পেশাদার ইস্পোর্টস গেমাররা এখান থেকে বেশ ভালো অঙ্কের অর্থও আয় করে থাকেন। এই গেমের অন্যতম সফল খেলোয়াড় ডোনোভান হান্ট টুইটে লিখেছেন, ‘এটা আমার সবচেয়ে পছন্দের গেমের অন্যতম।’
গেমের উন্নতি নিয়েও মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন রিভিউয়াররা। বিশেষ করে গ্রাফিকসের দিক থেকে আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। গেমসরিডার সাইটের বিশেষজ্ঞ বেন উইলসন লিখেছেন, ‘বিদায়ের আগে ফিফা ২৩ সিরিজটাকে শিখরেই রাখল। পাশাপাশি আগামী বছর ইএ স্পোর্টস এফসির অভিষেক নিয়েও উৎসাহী হওয়ার মতো বার্তা দিয়ে গেল।’
ইএ গত বছর ৫৬০ কোটি ডলার আয় করেছে, যা তাদের সবচেয়ে বড় ভিডিও গেম উৎপাদনকারীদের একটিতে পরিণত করেছিল। তবে ফিফা লাইসেন্স ফি বাবদ বছরে ১৫ কোটি ডলার থেকে ২৫ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই দুই পক্ষে বিরোধের শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত যেটি তাদের নিয়ে গেছে সম্পর্ক ছিন্ন করার দিকেই।
নতুন গেম বাজারে আনার ঘোষণা দিলেও ইএ এখন থেকে আর ফিফা বা ফিফার অধীনে থাকা প্রতিযোগিতাগুলোর নাম ব্যবহার করতে পারবে না। তবে তারা খেলোয়াড়দের নাম ব্যবহার করতে পারবে এবং ফিফার বাইরে থাকা প্রতিযোগিতাগুলোর নামও (যেমন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ) ব্যবহার করতে পারবে।