অনলাইন ডেস্ক: কর্মকর্তা ও বিভিন্ন এজেন্সির বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে নারীদের বিদেশে পাচারের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ অর্জনের অভিযোগে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে (বিএমইটি) অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালিত এনফোর্সমেন্ট অভিযানে এমন সত্যতা পাওয়া যায়। দুদকের সহকারী পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক, সহকারী পরিচালক স্বপন কুমার রায়, সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ ও সহকারী পরিচালক মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা সমন্বয়ে গঠিত টিম অভিযান পরিচালনা করেছে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আক্তারুল ইসলাম বলেন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ঢাকার অসাধু কর্মকর্তা ও বিভিন্ন এজেন্সির বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে নারীদের বিদেশে পাচারের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ অর্জনের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানকালে টিম রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে। দৈবচয়নের ভিত্তিতে আবেদনকারী ও এজেন্সির কয়েকটি ফাইল পর্যালোচনায় আটজন ব্যক্তির দাখিলকৃত পাসপোর্ট নম্বরে প্রার্থীর নাম সঠিক হলেও পারিবারিক বিবরণ ভিন্ন পাওয়া যায়। যা জালিয়াতির মাধ্যমে করা হয়েছে বলে টিম প্রমাণ পেয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, অভিযানকালে আরও কয়েকটি পাসপোর্ট নম্বর যাচাইয়ে গৃহকর্মী হিসেবে গমনেচ্ছু কর্মীদের নির্ধারিত বয়স ২৫ বছরের কম, এমনকি তারা কিশোরী হওয়া সত্ত্বেও তাদের ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে বলে টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। এ সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, পেটের দায়ে ও পরিবারের মুখে একটু হাসি ফোটাতে দেশ ছাড়ছেন বাংলাদেশের বহু নারী। তারা প্রতিনিয়ত শিকার হচ্ছেন যৌন নিপীড়ন, শারীরিক নির্যাতন এবং নিঃস্ব করে ফেলা এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার। একটি পাচারকারী চক্র নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভুয়া কাগজপত্রে কিশোরীদের বিদেশে পাঠাচ্ছে। চক্রটির সঙ্গে জড়িত বিএমইটির অন্তত ৪ থেকে ৫ জন কর্মকর্তা। সঙ্গে আছে অর্ধশতাধিক রিক্রুটিং এজেন্সি। প্রশিক্ষণ ছাড়াই, ভুয়া পাসপোর্ট নম্বর ব্যবহার করে, প্রত্যাগত দেখিয়ে শত শত অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে পাঠানো হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে।