চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। এ জন্য কিয়েভে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারসহ ইরান দূতাবাসের কর্মকর্তার সংখ্যা কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেহরান। এর মধ্যেই অভিযান দীর্ঘায়িত করতে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে মস্কো।
ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই আলোচনায় রয়েছে ড্রোনের ব্যবহার। রাশিয়া ইরানের তৈরি শক্তিশালী ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে কিয়েভ। এক বিবৃতিতে ইরানের এমন ‘অবন্ধুসুলভ’ আচরণের কথা উল্লেখ করে কিয়েভে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
এমনকি ইরানের রাষ্ট্রদূতের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি কিয়েভের ইরান দূতাবাসের কূটনীতিকের সংখ্যা কমানোর নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। তবে এরই মধ্যে ‘শাহেদ-ওয়ান থার্টি সিক্স’ ও ‘মোহাজের সিক্স’সহ ইরানের তৈরি বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে কিয়েভ।
মস্কোকে অস্ত্র দেয়ার মাধ্যমে ইরান তার নিরপেক্ষতা লঙ্ঘন করছে বলেও অভিযোগ ইউক্রেনের। তবে এ অভিযোগ সরাসরি নাকচ করেছে তেহরান। এর আগে, গত জুলাই মাসে ইরানের বিরুদ্ধে রাশিয়ার কাছে ড্রোন বিক্রির অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, অভিযান দীর্ঘায়িত করতে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আগামী বছর আগের তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে ৪৩ শতাংশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর জন্য বাজেট ৪০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া আগামী চার বছরে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে ৩৪ লাখ কোটি রুবল ব্যয়ের কথা জানায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে, বার্ষিক মোট সামরিক ব্যয়ের তিন-চতুর্থাংশই প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে থাকে রাশিয়া। দেশটির মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করা হয়, যা রুশ সরকারের সামাজিক কর্মসূচির পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়।